আওকিগাহারা বন
- রাজীব ঘোষ
চরম রোম্যান্টিকতাকে পাথেয় করে নিঃসঙ্গ জীবনের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন কোমরের ভাঁজে বৃষ্টি ও আঁতুড় ভেঙে। ঠিক যেমন শ্রীচৈতন্য কৃষ্ণ প্রেমে সাটার ভাঙে।এখানে কবি বোহেমিয়ান সত্তায় ভর করে সারা পৃথিবীকে ঠাণ্ডা হাতের তালুতে নাচিয়েছেন। গাছেদের সাগরে ভেসে গিয়ে শব্দকে চাবকেছেন।এই চির সবুজ শব্দের জঙ্গলে একবার ঢুকলে আর ফিরে আসা যায় না। ঠিক যেমন ‘আওকিগাহারা বন’ যেখানে গেলে মৃত্যুর সাধ জাগে। দুঃসাহসী ভ্রমণ সাজিয়ে ওষ্ঠাগ্রে আমরা কি এই স্বাধীনতার স্বাদ নেবো নাকি পরাধীন থেকে যাবো, জানা নেই।
রাজীবের কবিতাগুলির বিশেষত্ব হচ্ছে এর চিত্রময়তা,যা বিচ্ছিন্ন তুলির টানে আঁকা, ভাবের ছোট ছোট মাত্রায় রচিত। কবিতার এক একটি শব্দ বিন্যাসে তৈরী হয়েছে আত্মকথনের সার্বিক মুহুর্ত।
জন্ম ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাঙ্গামাটির দেশ গড়বেতার প্রত্যন্ত গ্রামে। গানের আবহেই বড় হয়ে ওঠা। শিলাবতী নদীর বহতা ধারার সিগ্ধতায় কবিতার জন্যই কলম ধরেছেন কবি এক অনুচ্চ ভালোবাসা ও বিশ্বাসে। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু, পরে একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও নেভিতে যোগদান। বর্তমানে ‘ক্যামেলিয়া’ সাহিত্য পত্রিকাটির সম্পাদনায় নিমগ্ন। গল্প এবং কবিতায় একাত্ম তাঁর সংবেদনশীল হৃদয় ও মনন। শূন্য দশকেৱকবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ “আমি র-ঘরানার কবি” প্ৰকাশিত হয় ২০১৬ সালে। বর্তমানে চিত্রনাট্য লেখার কাজেও হাত দিয়েছেন। সাহিত্য জগতে রাজীব ঘোষ একটি পরিচিত নাম।