চাঁদ বণিকের পালা
- অপূর্ব দে
স্বনামধন্য নাট্যব্যক্তিত্ব শম্ভু মিত্রের 'চাঁদ বণিকের পালা' এক অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। শম্ভু মিত্রের সর্বশেষ এই মৌলিক নাটকটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৮ সালে। 'বহুরূপী' পত্রিকায়-'বটুক' ছদ্মনামে নাটকটি লেখেন তিনটি পর্বে যথাক্রমে ১৯৬৫, '৬৬ ও '৭৪ সালে। মনসামঙ্গল কাব্যের চাঁদ সদাগরের কাহিনিকে আশ্রয় করে এ নাটকের মধ্য দিয়ে শম্ভু মিত্র প্রকাশ করেছেন আধুনিক কালের কিংবা সর্বকালের এক উপাখ্যান। মূল কাহিনির মধ্যে ভাঙচুর ঘটিয়ে দেশ-কাল সম্পর্কে নিজস্ব অভিজ্ঞতা, দর্শন, উপলব্ধি ও অনুভবের এক গভীরতম কাহিনি। তিনি আমাদের শুনিয়েছেন 'চাঁদ বণিকের পালা'য়। এ পালা নীতিহীনতার বিরুদ্ধে, অজ্ঞানের বিরুদ্ধে এক সুগভীর প্রতিবাদ। অথচ নাটকটির বিস্তৃত আলোচনায় সমৃদ্ধ কোনো গ্রন্থ আজও প্রকাশিত হয়নি। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু প্রবন্ধের সন্ধান পাওয়া যায় মাত্র। এই অভাব ও অতৃপ্তি থেকেই বর্তমান গ্রন্থের পরিকল্পনা।
জন্ম ২ আগস্ট, ১৯৬২। নৈহাটি ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতক এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে উত্তরপাড়া রাজা প্যারীমোহন কলেজে অধ্যাপনায় রত। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-এর অতিথি অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের অর্থানুকুল্যে ‘শিশুনাট্য’ বিষয়ে গবেষণা করেছেন। কালিঘাটের নিষিদ্ধ পল্লীর যৌনকর্মীদের দিয়ে নাটক রয়েছেন। সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ে কলকাতা দূরদর্শনে অনেক অনুষ্ঠান করে থাকেন। ‘গ্রুপ থিয়েটার’ পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য। ‘গ্রুপ থিয়েটার’ পত্রিকার কালীপ্রসাদ চক্রবর্তী স্মারক পুরস্কার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ একাঙ্ককার হিসেবে। সংলাপ কলকাতা নাট্য সংস্থার ‘অন্যতম নাট্য সমালোচক’-এর পুরস্কার এবং কালপুরুষ নাট্যসংস্থার ‘শ্রেষ্ঠ নাট্য প্রাবন্ধিক’ হিসেবে সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কারও পেয়েছেন। ২০১১ সালে পেয়েছেন তারাশঙ্কর সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রদত্ত ‘তারাশঙ্কর’ নামাঙ্কিত ‘স্বর্ণপদক পুরস্কার’।