নুরজাহান : ফিরে দেখা
- অপূর্ব দে তপন মণ্ডল
সে এক নারী কেবলই গুমরে মরে। চাওয়ার সঙ্গে পাওয়া মেলে না। স্থিতি খোঁজে মন। তবু সময়ের চক্রান্তে তার ঘর ভেঙে যায়, চারপাশটা কেবলই বিষিয়ে ওঠে। এই কালবেলায় দাঁড়িয়ে সে প্রতিশোধ নিতে চায় আর নিয়তির ইঙ্গিতে অমোঘভাবে সে এগিয়ে চলে ক্ষমতার অলিন্দে। ভুল বোঝে তাকে সবাই। সম্পর্কের সেই যোজন যোজন দূরত্বের মধ্যে দাঁড়িয়ে বড় হাঁপিয়ে ওঠে কি জাহাঙ্গীরের এই প্রেমিকা? না কি ভুল হল বলা? শের খাঁর স্ত্রী-ই কি কেবল সে? নুরজাহান নিজেকে খোঁজে জীবন হাতড়ে হাতড়ে। অবচেতন তাকে আক্রমণ করে। নিজের প্রতিবিম্বের সামনে দাঁড়াতে চায় না সে। একা নারীর এক অন্তর্যাত্রার আখ্যানকে সাম্প্রতিকের একুশ জন প্রাবন্ধিক বিশ্লেষণী দৃষ্টিতে বিচার করলেন এখানে।
জন্ম ২ আগস্ট, ১৯৬২। নৈহাটি ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতক এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে উত্তরপাড়া রাজা প্যারীমোহন কলেজে অধ্যাপনায় রত। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-এর অতিথি অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের অর্থানুকুল্যে ‘শিশুনাট্য’ বিষয়ে গবেষণা করেছেন। কালিঘাটের নিষিদ্ধ পল্লীর যৌনকর্মীদের দিয়ে নাটক রয়েছেন। সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ে কলকাতা দূরদর্শনে অনেক অনুষ্ঠান করে থাকেন। ‘গ্রুপ থিয়েটার’ পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য। ‘গ্রুপ থিয়েটার’ পত্রিকার কালীপ্রসাদ চক্রবর্তী স্মারক পুরস্কার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ একাঙ্ককার হিসেবে। সংলাপ কলকাতা নাট্য সংস্থার ‘অন্যতম নাট্য সমালোচক’-এর পুরস্কার এবং কালপুরুষ নাট্যসংস্থার ‘শ্রেষ্ঠ নাট্য প্রাবন্ধিক’ হিসেবে সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কারও পেয়েছেন। ২০১১ সালে পেয়েছেন তারাশঙ্কর সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রদত্ত ‘তারাশঙ্কর’ নামাঙ্কিত ‘স্বর্ণপদক পুরস্কার’।