কথাসাহিত্যের দিগ্ বলয়
- বিনীতা রাণী দাস
কথাসাহিত্য আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ফসল । গদ্য সাহিত্যের বিকাশের ধারাপথেই আবির্ভাব ঘটে প্রথমে উপন্যাসের, ঈষৎ পরবর্তীকালে ছোটগল্পের । বাস্তবের প্রেক্ষাপটে সার্বিক জীবনবোধ ও মানবচেতনার স্পষ্ট রূপাভিব্যক্তি কথাসাহিত্য। রবীন্দ্রনাথ, আশাপূর্ণা দেবী, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, মহাশ্বেতা দেবী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, প্রফুল্প রায়, বাণী বসু, আবুল বাশার কথাসাহিত্যের ভুবনকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। সম্পর্ক কথাসাহিত্যের প্রাণ। কথাসাহিত্যের এই বিষয়গুলোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মানুষের লোভ, লালসা, নানা সমস্যা ও সংকট। মনুষ্যসৃষ্ট মন্বত্তর, দেশ বিভাজন মানুষের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছিল। অধিকার থেকে বঞ্চিত। সংবেদনশীল কিছু মানুষ এই বলয় থেকে বেরিয়ে এসে ধর্ম ও সম্প্রদায়ের সংকীর্ণ গণ্ডির উর্দ্ধে উঠে তৈরি করতে চায় সংস্কৃতির সমন্বয়, কেউ কেউ স্বাজাত্যবোধ ও স্বাধীনতা রক্ষায় অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দেয়। আদিবাসী তথা নির্নবর্গের মানুষেরা নিজেদের সংস্কৃতির মধ্যেই বেঁচে থাকার প্রাণরস পায়। এই বিষয়গুলোই নানা সময়ে নানাভাবে এই কথাসাহিত্যিকদের রচনায় উঠে এসেছে। তাঁদের রচনা বাস্তব সমাজ প্রেক্ষাপটে মানুষের জীবনচর্যার এইসব নানা চিত্রে সমৃদ্ধ
জন্ম ১৯৭০, অসমের শিলচর শহরের নিকটবর্তী শালচাপড়ার বর্ণিরপার গ্রামে। স্নাতক স্তরে শিলচরের কাছাড় কলেজের বাংলা বিভাগের কৃতী ছাত্রী ছিলেন ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আশাপূর্ণা দেবীর উপন্যাস নিয়ে গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রি পান। অধ্যাপনা-জীবন শুরু শিলচরের নিকটবর্তী কাবুগঞ্জের জনতা কলেজে। বর্তমানে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘বিবর্তিত নারীসত্তা : আশাপূর্ণা দেবীর উপন্যাসে নারী’। উপন্যাস ও ছোটগল্পের বিষয়বস্তুর গভীরতা অনুসন্ধানে তাঁর প্রবল আগ্রহ। পত্র পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লেখেন। লেখার বিষয়ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে উপন্যাস ও গল্পের আলোচনা। প্রিয় শখ পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া ও বই পড়া।