মালতী শ্যাম : জাগরণের নান্দীপাঠক
- রামী চক্রবর্তী
মালতী শ্যাম আগুনের পরশমণির নাম। বঙ্গীয় পরিমণ্ডলের বিচ্ছিন্ন পূর্বপ্রান্তিক শহর শিলচর যখন সাম্প্রতিক কালের স্বর শুনতে না-পেয়ে নিরন্ধু অন্ধকারে পুষ্ট সামন্ততান্ত্রিক অচলায়তনে মগ্ন ছিল, মেয়েদের মধ্যে জাগরণের নাবিক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ইতিহাসের যবনিকা সরিয়ে এই বই অনন্যা সেই নারীর সংগ্রামকথার প্রতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আলোকপাত করেছে। অনুকরণযোগ্য নিষ্ঠা ও যত্ন নিয়ে পূর্বমাতৃকার জীবনকৃতি বিশ্লেষণ করেছেন লেখিকা রামী চক্রবর্তী। তথ্য থেকে পৌছেছেন সেই আশ্চর্য সত্যে যাকে ভুলে যাওয়া অপরাধ। উত্তর-প্রজন্ম এই বই থেকে বুঝে নিতে পারবে, নারীশক্তি কী অসাধ্য সাধন করতে সমর্থ। জগদ্দল পাথরের আড়াল থেকেই কীভাবে জেগে উঠেছিল চেতনার, শুশ্রুষার ঝর্ণাধারা।।
জন্ম ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭৭। বর্তমানে আসাম কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিলচর-এ বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপিকা। শিক্ষা ঐ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সাম্প্রতিক বাংলা সাহিত্যের তাত্ত্বিক অনুধ্যান সহ রবীন্দ্রসাহিত্যের বহুমাত্রিক অধ্যয়ন তার অনুশীলনের প্রিয় বিষয়। ‘আশাপূর্ণার উপন্যাসে নারী’ ও ‘মহাশ্বেতা : নারী পরিসর এবং অন্যান্য’ বইদুটি ইতিমধ্যে পাঠকমহলে আদৃত। লেখিকার বিশ্বাস সাহিত্য ও সংস্কৃতি কালান্তরের বার্তাই শুধু দেয় না— জীবনের তাৎপর্য সম্পর্কে নতুন নতুন জিজ্ঞাসার সূচনাও করে। শিলচরে ‘দ্বিরালাপ’ নামক বৌদ্ধিক সংস্থার সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত।