পাগলা ঘোড়া আধুনিক জীবনদর্শন
- কাকলী ভৌমিক
বাংলা নাটকের ইতিহাসের ধারায় নাট্যকার বাদল সরকার একদা প্রসেনিয়ম মঞ্চের সমান্তরালে মুক্তমঞ্চ নাট্যধারার প্রচলন করেন। এখানে বাস্তববিমুখ জীবনদর্শন নির্ভর যে সকল নাটক অভিনীত হতো, তা ছিল উদ্দেশ্যহীনতার নেপথ্যে জীবনের এক ভয়ংকর নাটকের এই নব আঙ্গিককে তৃতীয়ধারার নাটক হিসেবে দেখেছেন। তার লেখা “পাগলা ঘোড়া" এই ধারারই বাহক। চারজন শ্মশানযাত্রী একটি অল্পবয়সী মেয়ের শবদাহ নিয়ে শ্মশানে এসেছে দাহ করতে। দাহকার্য চলাকালীন এই চারমূর্তির আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে অসহায়তা ও দুর্ভাগ্যের চিত্রকে স্পষ্ট করেছেন মৃত মেয়েটির শরীরের অবয়বে, আলোচ্য গ্রন্থে পাগলা ঘোড়া নাটকের নেপথ্যের কাহিনি ও বাদল সরকার মহাশয়ের জীবনদর্শনের কিছুমাত্র রেখাপাত ঘটেছে। নাট্যপ্রেমী গুণীজন ও ছাত্রছাত্রীরা গ্রন্থটি পাঠ করে উপকৃত হলে কৃতার্থ বোধ করবো।