তরাই – ডুয়ার্সের লোকসংস্কৃতি
- আব্দুর রহিম গাজী
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও রংপুর ডিভিশন মিলিয়ে অখন্ড (আসাম অংশ বাদে) তরাই-ডুয়ার্স অঞ্চল লোকসংস্কৃতির রত্ন-ভান্ডার। এই বিরাট অঞ্চলের লোকসংস্কৃতিকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে ক্ষেত্র সমীক্ষার মাধ্যমে তুলে বিশ্লেষণ করে প্রবন্ধকারে উপস্থাপন আলোচ্য গবেষণা কর্মটির মূল উদ্দেশ্য। একাজে এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বহু শতাব্দী বাহিত লোকায়ত ঐতিহ্যের নানা দিগন্তকে স্বরূপে ও বৈচিত্রে তুলে আনা বেশ পরিশ্রম ও সময় সাপেক্ষ বিষয়। দুর্বার অভিযান চালিয়ে উলম্ব ও আনুভূমিক পর্যালোচনায় তাকে দুই মলাটে বাঁধতে গিয়ে গ্রন্থটির আয়তন বৃদ্ধি পেয়েছে। আশা করি লোকসংস্কৃতি পিপাসুদের কাছে তা তৃপ্তিদায়ক হবে।
উত্তর চব্বিশ পরগণার বাদুড়িয়া থানার পিয়াড়া গ্রামে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৭০ সালে জন্ম। বসিরহাট কলেজ থেকে বাংলায় সাম্মাণিক স্নাতক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে স্নাতকোত্তর। ২০০৫ সালে ‘উত্তর ২৪ পরগণার মুসলিম লোকজীবনের সাহিত্য ও সংস্কৃতি’ বিষয়ে গবেষণা করে পি.এইচ.ডি. লাভ একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। উলেখযোগ্য গ্রন্থ—‘তারাশঙ্করের উপন্যাসে প্রকৃতিজগৎ ও লোকৰ্জীবন’ এবং ‘কোচবিহারের লোকসংস্কৃতি : বহুমাত্র বহুস্বর’। ২০০৯ সালে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা কলেজে অধ্যাপনার কাজ শেষ করে মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে কলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার রত আছেন।