নাট্য সাহিত্য নাট্য ব্যক্তিত্ব
- অপূর্ব দে
নাট্য সাহিত্য তথা থিয়েটারের নানা দিক এই গ্রন্থে উন্মোচিত হয়েছে। মোট পঁচিশটি নাট্য-প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রতিটি প্রবন্ধে প্রাবন্ধিকের অনুসন্ধিৎসা ও মননশীলতার পরিচয় আছে। এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গী থেকে লেখা হয়েছে প্রবন্ধগুলি। তারাশঙ্কর, বনফুলের মতো কথাসাহিত্যিকদের নাটক কিংবা বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের নাট্যরূপ অথবা বিদ্রোহী কবির নাটকগুলি নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা থিয়েটারের ঐতিহ্য, উত্তরাধিকার, ভাষা, থিয়েটারের গিমিক, গ্রাম-বাংলার থিয়েটারচর্চা, রাজনৈতিক নাটক, সম্প্রীতির নাটক, শিক্ষা সিলেবাসে, থিয়েটার ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় এ গ্রন্থে আলোকিত। ‘সাজাহান’ ও ‘সাজানো বাগান’ নাটকদুটির উপরও লেখক বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন। বাংলা থিয়েটারে এক অন্যতম সংযোজন এই গ্রন্থটি।
জন্ম ২ আগস্ট, ১৯৬২। নৈহাটি ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতক এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে উত্তরপাড়া রাজা প্যারীমোহন কলেজে অধ্যাপনায় রত। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-এর অতিথি অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের অর্থানুকুল্যে ‘শিশুনাট্য’ বিষয়ে গবেষণা করেছেন। কালিঘাটের নিষিদ্ধ পল্লীর যৌনকর্মীদের দিয়ে নাটক রয়েছেন। সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ে কলকাতা দূরদর্শনে অনেক অনুষ্ঠান করে থাকেন। ‘গ্রুপ থিয়েটার’ পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য। ‘গ্রুপ থিয়েটার’ পত্রিকার কালীপ্রসাদ চক্রবর্তী স্মারক পুরস্কার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ একাঙ্ককার হিসেবে। সংলাপ কলকাতা নাট্য সংস্থার ‘অন্যতম নাট্য সমালোচক’-এর পুরস্কার এবং কালপুরুষ নাট্যসংস্থার ‘শ্রেষ্ঠ নাট্য প্রাবন্ধিক’ হিসেবে সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কারও পেয়েছেন। ২০১১ সালে পেয়েছেন তারাশঙ্কর সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রদত্ত ‘তারাশঙ্কর’ নামাঙ্কিত ‘স্বর্ণপদক পুরস্কার’।