সেলেস্টিয়াল রাত
- রাজীব ঘোষ
রাজীবের শব্দ ব্যবহার বৈচিত্র্য আপনাকে আকৃষ্ট করবেই বিভিন্ন ভাষার শব্দগুলোকে নিয়ে স্বাধীনভাবে খেলা এটা কবির আর্ট। কবি যখন বলেন - পিকক উড়ে যায় সূর্যাস্তের দিকে/এ-খানে অবসান, ওয়াইন ক্রিসেন্ট টাদ, ভালোবাসায় গিঁঠানো যুগলশয়নের চামেলি / একটি গভীর শ্বাস, অবাধ্য এশ্বরিক মন্ত্রে /গ্রীষজ্মের ফুসফুস থেকে জেগে ওঠে । এভাবেই শব্দের স্বাধীনতাই গড়ে তোলেন কবির খেলার মাঠ কিন্বা আঁকার ক্যানভাসে। কখনও অতি মসৃণ শব্দের সঙ্গে অতি কর্কশ শব্দের পরিণয় ঘটিয়ে ফেলেন, আবার কখনও একেবারে পরিশীলিত শব্দের সাথে ভীষণ আপত্তিকর শব্দ নিয়েও খেলেন। নক্ষত্রমালা থেকে জীভ ছুড়ে দেয় / প্রতিধ্বনিহীন নৌকোর খোলে শেণীসংগ্রামের নামে / আর উনিশ সেকেণ্ড পর পেঁচা ডেকে উঠবে / শবস্তী নীরবতা এভাবেই আসে সাঁতার মুখস্থ করে। কবিকে কোথাও যেনো মনে হয়েছে বিদ্রোহী ও প্রেমিক। রাজীবের কবিতা বোঝার সুযোগ না দাঁড় করিয়ে দেয়।
রাজীবের কবিতাগুলির বিশেষত্ব হচ্ছে এর চিত্রময়তা,যা বিচ্ছিন্ন তুলির টানে আঁকা, ভাবের ছোট ছোট মাত্রায় রচিত। কবিতার এক একটি শব্দ বিন্যাসে তৈরী হয়েছে আত্মকথনের সার্বিক মুহুর্ত।
জন্ম ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাঙ্গামাটির দেশ গড়বেতার প্রত্যন্ত গ্রামে। গানের আবহেই বড় হয়ে ওঠা। শিলাবতী নদীর বহতা ধারার সিগ্ধতায় কবিতার জন্যই কলম ধরেছেন কবি এক অনুচ্চ ভালোবাসা ও বিশ্বাসে। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু, পরে একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও নেভিতে যোগদান। বর্তমানে ‘ক্যামেলিয়া’ সাহিত্য পত্রিকাটির সম্পাদনায় নিমগ্ন। গল্প এবং কবিতায় একাত্ম তাঁর সংবেদনশীল হৃদয় ও মনন। শূন্য দশকেৱকবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ “আমি র-ঘরানার কবি” প্ৰকাশিত হয় ২০১৬ সালে। বর্তমানে চিত্রনাট্য লেখার কাজেও হাত দিয়েছেন। সাহিত্য জগতে রাজীব ঘোষ একটি পরিচিত নাম।