তপস্বী ও তরঙ্গিণী পুরাণের নবভাষ্য
- অপূর্ব দে
নাট্যকার বুদ্ধদেব বসুর অনন্য সৃষ্টি ‘তপস্বী ও তরঙ্গিণী’ বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ এক কাব্যনাট্য। এ নাটকের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করা হয়েছে এই গ্রন্থটিতে। বিশ্ববিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা যেমন মননশীল আলোচনা করেছেন; পাশাপাশি থিয়েটারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নাট্যব্যক্তিত্বরাও তাদের মতামতকে ব্যক্ত করেছেন। গ্রন্থের সম্পাদক ড. অপূর্ব দে শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও দাবিকে মান্যতা দেবার চেষ্টা করেছেন। তবে তিনি গ্রন্থটিকে নিছক গতানুগতিক বইয়ের আকার দিতে চাননি। সম্পাদিত গ্রন্থও যে গবেষণাধর্মী গ্রন্থ হয়ে উঠতে পারে তা তিনি প্রমাণ করেছেন—‘চাঁদ বণিকের পালা : আধুনিক উপাখ্যান’ ও ‘টিনের তলোয়ার : ইস্পাতের তলোয়ার’ গ্রন্থ দুটিতে। এ গ্রন্থেও তিনি তার স্বকীয়তা বজায় রেখেছেন।
জন্ম ২ আগস্ট, ১৯৬২। নৈহাটি ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতক এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি. ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে উত্তরপাড়া রাজা প্যারীমোহন কলেজে অধ্যাপনায় রত। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-এর অতিথি অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের অর্থানুকুল্যে ‘শিশুনাট্য’ বিষয়ে গবেষণা করেছেন। কালিঘাটের নিষিদ্ধ পল্লীর যৌনকর্মীদের দিয়ে নাটক রয়েছেন। সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ে কলকাতা দূরদর্শনে অনেক অনুষ্ঠান করে থাকেন। ‘গ্রুপ থিয়েটার’ পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য। ‘গ্রুপ থিয়েটার’ পত্রিকার কালীপ্রসাদ চক্রবর্তী স্মারক পুরস্কার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ একাঙ্ককার হিসেবে। সংলাপ কলকাতা নাট্য সংস্থার ‘অন্যতম নাট্য সমালোচক’-এর পুরস্কার এবং কালপুরুষ নাট্যসংস্থার ‘শ্রেষ্ঠ নাট্য প্রাবন্ধিক’ হিসেবে সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতি পুরস্কারও পেয়েছেন। ২০১১ সালে পেয়েছেন তারাশঙ্কর সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক প্রদত্ত ‘তারাশঙ্কর’ নামাঙ্কিত ‘স্বর্ণপদক পুরস্কার’।