তারাশঙ্করের উপন্যাসে প্রকৃতিজগৎ ও লোকজীবন
- আব্দুর রহিম গাজী
রাঢ়ের লোকায়ত গোষ্ঠীজীবন ও পটভূমি-পরিবেশ-প্রতিবেশীর সঙ্গে তারাশঙ্করের উপন্যাসের আখ্যান অংশের আত্মীয়তার সম্পর্কসূত্রটি ১৯৩৯ থেকে ১৯৫১ সালের প্রেক্ষিতে প্রকৃতি ও চরিত্র বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই গ্রন্থে ধরা হয়েছে। Deep Study-র মাধ্যমে তারাশঙ্করের উপন্যাসের অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণে তার শিল্পীসত্তার মৌলিক দিক উন্মোচিত হয়েছে। অভিজ্ঞতার শিল্পী তারাশঙ্কর কীভাবে গোষ্ঠীমানুষের সঙ্গে প্রকৃতির অম্ল-মধুর সম্পর্কের চালচিত্র এঁকেছেন, লোকঐতিহোর সঙ্গে অম্বিত বিশ্বাস-সংস্কার, ব্ৰত-পূজা, ভাষাভঙ্গি ইত্যাদি নানা দিক তুলে ধরেছেন, সেকাল-একালের দ্বন্দের মধ্যে দাঁড়িয়েও ক্লাসিক সমাজসত্যে উপনীত হয়েছেন—তা তাঁর শিল্পীমানসের বিশেষ একটি পর্বের নিরিখে মূল্যায়ন করা হয়েছে এই গ্রন্থে।
উত্তর চব্বিশ পরগণার বাদুড়িয়া থানার পিয়াড়া গ্রামে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে ১৯৭০ সালে জন্ম। বসিরহাট কলেজ থেকে বাংলায় সাম্মাণিক স্নাতক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে স্নাতকোত্তর। ২০০৫ সালে ‘উত্তর ২৪ পরগণার মুসলিম লোকজীবনের সাহিত্য ও সংস্কৃতি’ বিষয়ে গবেষণা করে পি.এইচ.ডি. লাভ একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। উলেখযোগ্য গ্রন্থ—‘তারাশঙ্করের উপন্যাসে প্রকৃতিজগৎ ও লোকৰ্জীবন’ এবং ‘কোচবিহারের লোকসংস্কৃতি : বহুমাত্র বহুস্বর’। ২০০৯ সালে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা কলেজে অধ্যাপনার কাজ শেষ করে মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার কাজ শুরু করেন। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে কলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনার রত আছেন।