গিরিশচন্দ্রের জনা
- ফটিক চাঁদ ঘোষ
কিছু সাহিত্য যুগান্তরেও প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকে। নতুন মাত্রায় তার বিচার হয়। পাঠককে নতুনভাবে আনন্দ দেয়। স্বাদেশিক চেতনা, হিন্দু নবজাগরণ, রামায়ন, মহাভারত প্রভৃতির সৃজন প্রবাহ উনিশ শতকে সাহিত্য সৃষ্টিতে প্রেরণা দিয়েছিল। ‘জনা’ তারই ফল। কিন্তু ‘জনা’-কে সেই আধুনিকতা দিয়ে দেখতে কি আমরা অভ্যস্ত? প্রায়শ:ই পৌরাণিক দিক দিয়ে জনার বিচার হয়। কিন্তু এগ্রন্থে সম্পাদক নতুন করে ‘জনা’-র মূল্যায়ন করেছেন। স্বাদেশিকতা, ব্যক্তিত্ব, বিয়োগ-বেদনা, স্বাধীনচেতা মানুষের জীবনপণ ‘জনা’-য় আজ খুঁজে পাওয়া যাবে। এই গ্রন্থে সেই চেষ্টাই রয়েছে। এ জনা’ নতুন সৃষ্টির ফসল।
জন্ম ১০ জুন ১৯৭০ পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমান্ত বাংলায়-লাটপাড়া গ্রামে। তপশিয়া, গোপিবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম রাজকলেজ ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা। তারপর বিনপুর হাইস্কুল ও মহিষাদল রাজকলেজে শিক্ষকতা। বর্তমানে মেদিনীপুর কলেজের বাংলাবিভাগের বিভাগীয় অধ্যাপক। নকশাল আন্দোলন ও বাংলা কবিতা-র আলোচনা নিয়ে এম. ফিল.। ঐ আন্দোলনের কথাসাহিত্য নিয়ে পি.এইচ.ডি.। প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বারো থেকে সাতাশ বছর বয়স পর্যন্ত। তারপর মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া। প্রতিষ্ঠিত শাসকগোষ্ঠীর বিরোধিতার পুরস্কার পেয়েছেন সারাজীবন। প্রকাশিত গ্রন্থ ‘নকশাল আন্দোলন ও বাংলা কথাসাহিত্য’, ‘আরোগ্য নিকেতন : একটি নিবিড় পাঠ’, ‘কাব্যগ্রন্থ পেরোতে চাই প্রলাপের কাল’, ছড়ার বই ‘একুশে বাংলার কবিগান’, সম্পাদিত গ্রন্থ : ‘রবির আলোয়’, ‘গিরিশচন্দ্রের জনা', ‘বাদল সরকার এবং’, ‘এবং ইন্দ্রজিত’, জঙ্গলমহলের সাম্প্রতিক আন্দোলনের পরিচয় পর্যালোচনা ‘ইতি ডুলুং : জঙ্গল মহল’। প্রকাশ পেতে চলেছে। ‘দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্ত বাংলার হারিয়ে যাওয়া লোকগান : অস্তিত্ব ও সংকট’। অধ্যাপনা ছাড়া বাকি সময়টুকু লেখা এবং মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং জমাট আড্ডা দিয়ে - যে আড্ডারও একমাত্র আলোচ্য মানুষ ও মানুষের অধিকার।