যা হয়েছে, যা হতেছে, এখুনি যা হবে
- অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত
দেশ ও কালের ক্রমবিসারী পরামর্শে চার পর্যায়ে সাজানো আয়োজন বিশ্বসাহিত্যের নানান প্রসঙ্গে অকাতরে আশ্রয় খুঁজছে এই বইয়ের অন্তর্গত প্রবন্ধগুলি। কোনো কোনো প্রবন্ধরচনার নেপথ্যে আছে বিশেষ উপলক্ষ্যের দাবি। এতদসত্ত্বেও তাদের অভিঘাত। অনিবার্যতই অন্তঃশীল। সেই সুবাদেই এই অনুষঙ্গে আইনস্টাইন অথবা প্রাচ্য প্রেক্ষণীতে সোয়াইগের অন্তর্ভুক্তি। কিভাবে জন্ম একটি কবিতার ? পিছুটান আর সামনে এগিয়ে যাওয়ার। টানা-পোড়েনে? নাকি, চলতে চলতে ব্যাপ্ত পরিপার্শ্বের দিকে অভিমুখিতার নান্দনিক আমন্ত্রণে। শেষ পর্যন্ত নিশ্চয়ই প্রক্রিয়াকে ছাপিয়ে যায় কবিতার স্বতঃসিদ্ধি। দীর্ঘকাল অপ্রাপ্য ছিল এই বই। এবার নতুন মুদ্রণে এসে পড়ল জাগর পাঠক দরবারে।
জন্ম কলকাতায়। ১৯৩৩ সাল। শাক্তিনিকেতনের উদাত্ত আশ্রমিক পরিবেশ থেকে বিদালয়জীবন শেষ করে যেদিন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ-এ পা দিলেন, তাঁর জীবনধারায় যুক্ত হলো অন্যতর মাত্রা। পরে প্রেসিডেন্সিতে স্নাতকোত্তর পাঠ সমাপ্ত করে ১৯৫৭ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যে অধ্যাপনা শুরু। পরে বাংলা বিভাগের সঙ্গেও যুক্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভারতীয় লিরিকের উৎস ও ক্রমবিবর্তন’ নিয়ে গবেষণা কাজ। ‘হুমবোল্ট ফাউডেশনের’ প্রকল্কে ফেলোশিপ অর্জন এবং জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্যোয়েটে এবং রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তুলনামুলক অন্বেষা। পরে সেখানেই ‘ভারতত্ত্ব’ নিয়ে অধ্যাপনা ও জার্মানিতে বসবাস শুরু। এই সময় থেকেই অলোকরঞ্জন ভারত ও জার্মানির মধ্যে বসবাসের সময়কাল বিভাজন করে আসছেন। এবং সেই অভ্যেস জারি এখনো। পাশাপাশি সমানতালে চলছে তার সৃজণী কলম। প্রতি বছর নিয়মিত ভাবে প্রকাশিত হয়ে চলেছে একাধিক পুস্তক এখন অব্দি যার সংখ্যা পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই।