শিল্পিত স্বভাব
- অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত
তিনটি গুচ্ছে ষোলোটি প্রবন্ধ নিয়ে এই বইয়ের প্রথম আত্মপ্রকাশ চার দশকেরও আগে। গদ্যসমগ্ৰ-এর অন্তর্বর্তী রূপের বাহিরে এই তার তৃতীয় স্বাধীন স্বতন্ত্র প্রকাশ। নানা উপলক্ষ্যে রচিত, বিভিন্ন সাময়িকপত্রে প্রকাশিত প্রবন্ধগুলিতে ধরা আছে বিশ্বসাহিত্যের বর্ণময়মানসভূবন, যাঁদের অন্যতম অদ্বিতীয় রবীন্দ্রসাহিত্য। প্রবন্ধ রচনা মুহূর্ত মায়ায় উদ্বুদ্ধ হয় নিঃসন্দেহে। তবুও সৃষ্টিধর্মী রচয়িতার চরিতমানসের অভিব্যক্তি ও রূপান্তরের সংগ্রামী সমস্যাই হয়তো এই বইয়ের অন্যতম বিভাব।
জন্ম কলকাতায়। ১৯৩৩ সাল। শাক্তিনিকেতনের উদাত্ত আশ্রমিক পরিবেশ থেকে বিদালয়জীবন শেষ করে যেদিন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ-এ পা দিলেন, তাঁর জীবনধারায় যুক্ত হলো অন্যতর মাত্রা। পরে প্রেসিডেন্সিতে স্নাতকোত্তর পাঠ সমাপ্ত করে ১৯৫৭ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্যে অধ্যাপনা শুরু। পরে বাংলা বিভাগের সঙ্গেও যুক্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভারতীয় লিরিকের উৎস ও ক্রমবিবর্তন’ নিয়ে গবেষণা কাজ। ‘হুমবোল্ট ফাউডেশনের’ প্রকল্কে ফেলোশিপ অর্জন এবং জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্যোয়েটে এবং রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে তুলনামুলক অন্বেষা। পরে সেখানেই ‘ভারতত্ত্ব’ নিয়ে অধ্যাপনা ও জার্মানিতে বসবাস শুরু। এই সময় থেকেই অলোকরঞ্জন ভারত ও জার্মানির মধ্যে বসবাসের সময়কাল বিভাজন করে আসছেন। এবং সেই অভ্যেস জারি এখনো। পাশাপাশি সমানতালে চলছে তার সৃজণী কলম। প্রতি বছর নিয়মিত ভাবে প্রকাশিত হয়ে চলেছে একাধিক পুস্তক এখন অব্দি যার সংখ্যা পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই।