কবি হেমচন্দ্র ও বৃত্রসংহার
- নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় দে
বয়ঃসন্ধি পর্বে বাংলা কাব্য জগতে মধুসূদনের পরে উল্লেখযোগ্য কবি হলেন হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৯০৩ খ্রীঃ)। তাঁর কাব্যেই বাঙালী প্রথম শুনেছিল ব্রিটিশ বিরোধী সুর, পেয়েছিল স্বাধীনতার প্রেরণাবাণী। চিন্তাতরঙ্গিনী’, ‘বীরবাহুকাব্য’ প্রভৃতির রচয়িতা হেমচন্দ্র একদিন কবি হিসাবে বহু প্রশংসা পেয়েছিলেন তার। ‘বৃত্রসংহার’ (১৮৭৫-১৮৭৭) কাব্যটির জন্য। এ গ্রন্থে হেমচন্দ্রের জীবনী ও কাব্যপ্রতিভার পুনর্মূল্যায়নের পাশাপাশি বৃত্রসংহার’ কাব্যটির বিস্তৃত আলোচনা ধরা হয়েছে।
জন্ম : রানাঘাট, নদীয়া।
শিক্ষা: কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক স্তরে প্রথম বিভাগে প্রথম, স্নাতকোত্তরে প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি. এইচ. ডি. ও ডি. লিট. ডিগ্রী প্রাপ্তি।
কর্মজীবন শুরু বহরমপুর গার্লস কলেজে। বর্তমানে বিভাগীয় প্রধান, বাংলা বিভাগ, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রকাশিত গ্রন্থ — চারণকবি বিজয়লাল : জীবন ও সাহিত্য, ভোরের পাখিরা, পত্র পত্রিকায় রবীন্দ্র প্রসঙ্গ (তিন খণ্ড), অসামাণ্যা (কাব্যগ্রন্থ), পরিযায়ী (কাব্যগ্রন্থ), ‘ঐতিহ্য ও লোকসংস্কৃতির সমন্বয়ে জেলা মুর্শিদাবাদ’ ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকায় বহু প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।