নন্দিনী ও রক্তকরবী শতবর্ষের পথে
- নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায় দে
প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে ধনতান্ত্রিক সাব্রাজ্যবাদী শক্তিগুলির হাতে মানবতার অপমানে যেমন পীড়িত হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ তেমনি বিশ্বাস করেছিলেন এর অবসানের জন্য মনুষ্যত্বের ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকেই মাথা চাড়া দেবে বিপ্লব। একদিন ঠিক যেমন করে আবর্জনা ভেদ করে লাল ফুলটিকে বুকে নিয়ে মাথা তুলেছিল রক্তকরবীর চারা। সেই রক্তকরবীর আভরণ পরে নন্দিনী হাতে তুলে নেবে বিপ্নবের রাঙা মশাল। চরিত্র বদলে, রঙ বদলে অত্যাচারীরা এখনো সক্রিয়। তাই শতবর্ষের মুখে দাঁড়িয়েও “রক্তকরবী” নাটকটি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। এ শোনো শোষণের অবসান ঘটানোর জন্য সবাই বলছে, - “জয়! নন্দিনীর জয়!”
জন্ম : রানাঘাট, নদীয়া।
শিক্ষা: কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক স্তরে প্রথম বিভাগে প্রথম, স্নাতকোত্তরে প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্থান। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি. এইচ. ডি. ও ডি. লিট. ডিগ্রী প্রাপ্তি।
কর্মজীবন শুরু বহরমপুর গার্লস কলেজে। বর্তমানে বিভাগীয় প্রধান, বাংলা বিভাগ, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রকাশিত গ্রন্থ — চারণকবি বিজয়লাল : জীবন ও সাহিত্য, ভোরের পাখিরা, পত্র পত্রিকায় রবীন্দ্র প্রসঙ্গ (তিন খণ্ড), অসামাণ্যা (কাব্যগ্রন্থ), পরিযায়ী (কাব্যগ্রন্থ), ‘ঐতিহ্য ও লোকসংস্কৃতির সমন্বয়ে জেলা মুর্শিদাবাদ’ ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন পত্রিকায় বহু প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।