ছিন্নপত্রের রবীন্দ্রনাথ
- হীরেন চট্টোপাধ্যায়
পদ্মার অকূল শোভা মনকে মাতাল করে প্রকৃতি? নাকি নিরুদ্দেশযাত্রার অসীমব্যাপ্ত সেই সুন্দরী? কে সেদিন পদ্মার আড়ালে দাঁড়িয়ে ছিল? কবি কোন ছবি সেদিন মনে মনে দেখেছিলেন। প্রকৃতি আর পৃথিবীর নাড়ীর টানে সেদিন এক মানবের যাত্রাপথ বাঁধা পড়েছিল। অনুভব উঠে এসেছিল চিঠিতে চিঠিতে। আবহমানের সাহিত্যভাণ্ডারে সে চিঠি অমরতা পেল দর্শনের গভীরতায়, মন ব্যাকুলের মাধুর্যে। বহু সৃষ্টির ভ্রুণ সুপ্ত রইল সেইসব অক্ষরের আড়ালে। ছিন্নমুহুর্তের সেই পত্রবন্দী পূর্ণতাকে ফিরে দেখা হল এই বিশ্লেষণের ভাজে ভাজে।
জনপ্রিয় অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক নন, এ এক অন্য হীরেন চট্টোপাধ্যায়, বলা যায় নাটুকে হীরেন চট্টোপাধ্যায়। নিয়মিত অভিনয় করতেন। অগ্নিমিত্রের ‘সূত্রধার’ গ্রুপে। কলকাতার বিভিন্ন মঞ্চে। অনেক মঞ্চ নাটক অভিনয় করেছেন। নীহাররঞ্জন গুপ্তের রঙ্গম’ সংস্থায়। নিয়মিত অভিনয় হয়েছে তপন থিয়েটারে নাটক। এর সঙ্গে রয়েছে দূরদর্শন ও আকাশবাণী কলকাতা থেকে প্রচারিত প্রচুর নাটক। পিনাকী চৌধুরী প্রযোজনা করেছেন দিল্লি নেটওয়ার্কের হিন্দি ধারাবাহিক, তেরো পর্বের বাংলা ধারাবাহিক প্রচারিত হয়েছে। কলকাতা দূরদর্শন থেকে, সেই সঙ্গে বেশ কিছু টেলিফিল্ম। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র থেকে অর্ধশতাধিক নাটক প্রচারিত হয়েছে, প্রযোজনা করেছেন সূর্য সরকার, অজিত মুখোপাধ্যায়, সমরেশ ঘোষ, শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায়, ড: দীপক চন্দ্র পোদ্দারের মতো মানুষ।