উপন্যাসে আধুনিকতা : চোখের বালি
- হীরেন চট্টোপাধ্যায়
মনের টানে নিয়মের পাড় ভাঙে। বাঁক বদল হয় সম্পর্কের। তবু পরকীয়ার সেই চোরাস্রোত আবহমান সময়ের সঙ্গে অচ্ছেদ্যভাবে মিশে থাকে। সে স্রোতের টানে মহেন্দ্র-বিনোদিনী-আশালতা-বিহারীরা ভোসে চলে, তোলপাড় হয়, স্থিতি খোঁজে। মনস্তত্ত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজের অণুবীক্ষণযন্ত্রে চোখ রেখে রবীন্দ্রনাথ খুঁজে চলেন মানব মনের আর্তি, আকুতি, ক্ষত ও পরিত্রাণের স্বরূপগুলিকে। ব্যক্তিত্বের সংঘাত নাটকীয়তাকে ঘনীয়ে তোলে। না বলা কথা উঠে আসে চিঠির অক্ষরে। বিধবা বিবাহ ও পরকীয়ার জটপাকানো সুতোটাকে নিয়ে আরো একবার ভাবতে বসে অনুভবী মন। চোখের বালিকে কেন্দ্র করে সেই মনের বিশ্লেষণ ধরা থাকল এই দুই মলাটের প্রবন্ধের মধ্যে।
জনপ্রিয় অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক নন, এ এক অন্য হীরেন চট্টোপাধ্যায়, বলা যায় নাটুকে হীরেন চট্টোপাধ্যায়। নিয়মিত অভিনয় করতেন। অগ্নিমিত্রের ‘সূত্রধার’ গ্রুপে। কলকাতার বিভিন্ন মঞ্চে। অনেক মঞ্চ নাটক অভিনয় করেছেন। নীহাররঞ্জন গুপ্তের রঙ্গম’ সংস্থায়। নিয়মিত অভিনয় হয়েছে তপন থিয়েটারে নাটক। এর সঙ্গে রয়েছে দূরদর্শন ও আকাশবাণী কলকাতা থেকে প্রচারিত প্রচুর নাটক। পিনাকী চৌধুরী প্রযোজনা করেছেন দিল্লি নেটওয়ার্কের হিন্দি ধারাবাহিক, তেরো পর্বের বাংলা ধারাবাহিক প্রচারিত হয়েছে। কলকাতা দূরদর্শন থেকে, সেই সঙ্গে বেশ কিছু টেলিফিল্ম। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র থেকে অর্ধশতাধিক নাটক প্রচারিত হয়েছে, প্রযোজনা করেছেন সূর্য সরকার, অজিত মুখোপাধ্যায়, সমরেশ ঘোষ, শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায়, ড: দীপক চন্দ্র পোদ্দারের মতো মানুষ।