সৃজনের অন্ধকার : বিসর্জন
- হীরেন চট্টোপাধ্যায়
ধর্ম ও রাজনীতির গাঁটছড়া সেই কবে যেন বাঁধা হয়েছিল। তাদের দাম্পত্য শাসন করেছে সাধারণ, আপামর মানুষকে। মানবতা সেই রাজতন্ত্রের পিছন দরজা দিয়ে দুয়োরাণির মতো বারে বারেই গৃহত্যাগ করেছে। সেই ফেরারি মানবাত্মার কান্না গোবিন্দমাণিক্য, জয়সিংহদের ব্যাকুল করেছে। ভিত টলে গেছে রঘুপতির ধর্ম আধিপত্যের। দ্বন্দ গাঢ় হয়েছে। রক্ত চেয়েছে রঘুপতির স্বার্থ নাকি দেবী নাকি মেধাশূন্য ভক্তের দলই? আবহমানের সেই গল্প উঠে আসে ‘বিসর্জন’ নাটকে। ‘বিসর্জন’ নাটকের নানা অনুষঙ্গের সূত্র ধরে সমকালের এক কালসন্ধ্যায় দাঁড়িয়ে আরেক যুগসঙ্কটককে চেনার প্রচেষ্টা ধরা থাকল এই দুই মলাটের অবসরে।
জনপ্রিয় অধ্যাপক, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক নন, এ এক অন্য হীরেন চট্টোপাধ্যায়, বলা যায় নাটুকে হীরেন চট্টোপাধ্যায়। নিয়মিত অভিনয় করতেন। অগ্নিমিত্রের ‘সূত্রধার’ গ্রুপে। কলকাতার বিভিন্ন মঞ্চে। অনেক মঞ্চ নাটক অভিনয় করেছেন। নীহাররঞ্জন গুপ্তের রঙ্গম’ সংস্থায়। নিয়মিত অভিনয় হয়েছে তপন থিয়েটারে নাটক। এর সঙ্গে রয়েছে দূরদর্শন ও আকাশবাণী কলকাতা থেকে প্রচারিত প্রচুর নাটক। পিনাকী চৌধুরী প্রযোজনা করেছেন দিল্লি নেটওয়ার্কের হিন্দি ধারাবাহিক, তেরো পর্বের বাংলা ধারাবাহিক প্রচারিত হয়েছে। কলকাতা দূরদর্শন থেকে, সেই সঙ্গে বেশ কিছু টেলিফিল্ম। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্র থেকে অর্ধশতাধিক নাটক প্রচারিত হয়েছে, প্রযোজনা করেছেন সূর্য সরকার, অজিত মুখোপাধ্যায়, সমরেশ ঘোষ, শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায়, ড: দীপক চন্দ্র পোদ্দারের মতো মানুষ।